জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ‘জুলাই যোদ্ধা’ রোগীদের সঙ্গে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) আউটসোর্সিং কর্মীদের মারমারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সোমবার (১০ জুন) সকাল ১১টার পর থেকে উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান।
হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরেই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের নানা ধরনের দ্বন্দ্ব চলছে। এর মধ্যে রোববার রাতে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেন। কর্মবিরতির মধ্যেই তাদের ওপর আবার হামলা চালানো হয়।
হাসপাতালের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, রড ও লাঠি নিয়ে প্রশাসনিক ভবন ও আউটডোরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে এসব নিয়ে বৈঠকে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভ্যুত্থানে আহত মামুন বলেন, তিনি ৫ অগাস্ট আশুলিয়া থানার সামনে আহত হন। এখানেই ভর্তি ছিলেন। পুরো হাসপাতাল চালায় দালাল সিন্ডিকেট। এর বিরুদ্ধে কথা বলায় সকাল ১০টার দিকে ফিজিওথেরাপি নিতে যাওয়া আহতদের কয়েকজনের ওপর হামলা চালায় হাসপাতালের একদল কর্মচারী ও দালাল।
তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ইবনে মিজান বলেন, আগে থেকেই দুই পক্ষের মনোমালিন্য ছিলো। আহতদের দাবি ছিল ঠিকমতো সেবা না দেয়ার। কর্মচারীদের দাবি, আহতদের আচরণ উগ্র ছিল। আজ বৈঠকে বসে পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মারামারির ঘটনায় কয়েকজন হালকা আহত হয়েছেন।
আই/এ