রাজপাল যাদব এমন একজন অভিনেতা যিনি হাস্যরস ও কৌতুকের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তবে তার জীবনের অন্ধকার দিকগুলি ততটা আলোচিত হয়নি।
'জঙ্গল' ছবির মাধ্যমে যার অভিনয় জীবনের শুরু। তিনি এখন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র অভিনেতা। তবে তার হাস্যোজ্জ্বল মুখের পেছনে লুকিয়ে আছে এক হৃদয়বিদারক গল্প, যা খুব কম মানুষই জানে।
রাজপাল যাদবের জীবনে প্রথম বড় শোক নেমে আসে মাত্র ২০ বছর বয়সে। যখন অপ্রত্যাশিতভাবে তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে। আর এমন ঘটনার পরই তিনি এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। একদিকে স্বপ্নের চাকরি পেয়ে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন। অন্যদিকে, স্ত্রীকে হারিয়ে তিনি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। প্রথম সন্তান জন্মের পর যখন তার স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে, তখন তার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে।তিনি বলেন,আমার মা, শ্যালিকা এবং পরিবারকে ধন্যবাদ। তারা আমার কন্যাকে মায়ের অভাব কখনো বুঝতে দেয়নি। সে সবার ভালোবাসায় বড় হয়েছে।
তবে এই দুঃখ রাজপাল যাদবকে থামাতে পারেনি। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৩ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে নিজের জায়গা তৈরি করেন। তার অভিনয়ের প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং পরিশ্রম সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যায়। ৩১ বছর বয়সে রাধার সাথে পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের শুরু হয় এবং ২০০৩ সালে তারা বিয়ে করেন।
রাজপাল যাদব নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তার ক্যারিয়ারে। ‘ফির হেরা ফিরি’, ‘পার্টনার’, ‘ভূতনাথ’, ‘ভুলভুলাইয়া ২’—এমন সিনেমাগুলোতে তিনি হাস্যরসের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। তবে তাঁর প্রতিভা শুধু হিন্দি সিনেমায় সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি মারাঠি, তেলেগু, পাঞ্জাবি, বাংলা সহ বিভিন্ন ভাষার সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।
আজ রাজপাল যাদবের জন্মদিনে তার জীবন শুধু সাফল্যের গল্প নয়,এটি এক শক্তির উদাহরণ। যেখানে ব্যক্তিগত কষ্টের পরেও তিনি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন। তার জীবন দেখায় যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও আশা ও পরিশ্রম শেষ পর্যন্ত সফলতা আনে।
এসকে//