লাইফস্টাইল

দিনে ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হলে যে সর্বনাশ হতে পারে

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

আজকাল জীবনের ব্যস্ততা যেমন বেড়ে চলেছে, তেমনি স্মার্টফোন ব্যবহারের পরিমাণও বাড়ছে। এই দুইয়ের চাপের কারণে ঘুমের সময় কমছে এবং তার ফলস্বরূপ শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, যদি নিয়মিত ৭ ঘণ্টা ঘুম না হয়, তা হলে তা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।কম ঘুম হলে যা হতে পারে:

১. ঝিমুনি ও ক্লান্তি: ঘুম কম হলে পুরো দিনই শরীরে অস্বস্তি ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হলে দিনভর মনোযোগের অভাব এবং অবসাদ হতে পারে।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে সহজেই নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

৩. সিওপিডি (COPD)-এর ঝুঁকি: নিয়মিত ঘুমের অভাবে ফুসফুসের সমস্যা যেমন সিওপিডি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, যা শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

৪. ওজনজনিত সমস্যা: কম ঘুমের কারণে হরমোনের তারতম্য হয়, যা অকারণে ওজন বাড়ানো বা কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

৫. হৃদরোগ ও রক্তচাপের সমস্যা: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা ও রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

৬. মনোসংযোগের অভাব: কম ঘুমের কারণে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়, ফলে মনোসংযোগের সমস্যা দেখা দেয় এবং কাজের গতিও ধীর হয়ে যায়।

৭. মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া: দীর্ঘ সময় ধরে কম ঘুম হলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।

ঘুম ভালো করতে কিছু সহজ পরামর্শ: 

১. ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করে ফেলুন।

২. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৩. অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।

৪. বিছানার পাশে স্মার্টফোন রাখবেন না। 

৫. ঘরটিকে অন্ধকার করে রাখুন।

এভাবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই ঘুমের সমস্যা অনেকটা কমানো সম্ভব, আর শরীরও থাকবে সুস্থ। 

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন স্মার্টফোন | ঘুম