আইন-বিচার

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

বায়ান্ন প্রতিবেদন

রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর এলাকায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তিন যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা এই মামলার প্রধান দুই আসামি সজিব ও আলী আকবর এখনও পলাতক। দণ্ডিতরা হলেন—কেরানীগঞ্জ মডেল থানার খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে মো. রাকিব (২৩) এবং শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)।

লাশ গুমের ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডিতদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ট্রাইব্যুনাল আসামিদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।

এ মামলায় আসামি আলী আকবর (২২) ও মো. রিয়াজ (২২)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।

রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা তিন আসামি—রাকিব, রিয়াজ ও শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিব ও শাওনকে সাজা পরোয়ানা জারি করে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর এলাকায় একটি পুকুরে মারিয়া নামে এক নারীর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশ আসামি ভ্যালকা শাওনকে গ্রেফতার করে।

জবানবন্দিতে শাওন বলেন, মো. রাকিব, মো. রিয়াজ মো. সজিব, মো. আলী আকবর মিলে ভিকটিম কিশোরি মারিয়াকে গণধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । পরে পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

 

এসি//

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ধর্ষণ