ঈদ-উল-ফিতর আসতে আর বেশি সময় বাকি নেই, কিন্তু উৎসবের দিনে মিষ্টিমুখ তো একেবারে বাধ্যতামূলক। তবে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা এই খাবারগুলো খেতে গিয়ে অনেক সময় সতর্ক থাকতে চান। যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ঈদের আনন্দের মধ্যেও সুস্থ থাকার জন্য কিছু আগাম প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা অনেকে এই বিষয়ে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। জেনে নেয়া যাক কীভাবে পরিকল্পনা করবেন এবং সুস্থ থাকতে পারবেন।
ঈদের আগেই পরিকল্পনা করুন
ঈদে খাবারের বিষয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করে নিন এবং নিশ্চিত করুন যে সকালের নাস্তা বা দুপুরের খাবার চিনিমুক্ত থাকবে। ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদের পরামর্শও নিতে পারেন। যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
নজর খাবার বাছাইয়ের দিকে
ঈদে সেমাই, জর্দা এবং অন্যান্য মিষ্টি খাবারগুলো খুব জনপ্রিয়। তবে এসব খাবারে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। সুগার ফ্রি বা লো সুগার সুইটেনার দিয়ে রান্না করার চেষ্টা করুন। তাজা মৌসুমী ফল খাওয়ার পাশাপাশি বাদাম, খেজুর বা বিভিন্ন বীজও খেতে পারেন। যা প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং পুষ্টিতে ভরপুর।
নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ
ঈদে পোলাও, বিরিয়ানি, কাবাব, মাংসসহ নানা ধরনের খাবারের আয়োজন করা হয়। যেখানে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই খাবারের মধ্যে চর্বিহীন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখুন। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং শরীরের সুস্থতা বজায় থাকবে।
হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করতে হবে
খাবারের পরে অল্প হাঁটাহাঁটি করুন বা হালকা ব্যায়াম করুন। এটি আপনার শরীরে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরে খেলাধুলা বা ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে শরীরও সুস্থ থাকবে এবং আপনিও আনন্দ অনুভব করবেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে
ঈদের সময়ে প্রচুর পানি পান করা জরুরি। বিশেষ করে গরমের দিনে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পানি পান করা নিশ্চিত করুন। চিনিযুক্ত কোমল পানীয় থেকে বিরত থাকুন এবং ভেষজ চা বা চিনিমুক্ত পানীয় বেছে নিতে হবে যেটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দের মধ্যেও ডায়াবেটিস রোগীরা যদি কিছু সতর্কতা মেনে চলেন। তবে তারা ঈদের এই বিশেষ সময়েও সুস্থ থাকতে পারবেন। খাবারের পরিকল্পনা, হাঁটাচলা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সঠিক খাদ্য বাছাইয়ের মাধ্যমে আপনি আনন্দের সাথে সুস্থও থাকতে পারবেন।
এসকে//