বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, যার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিকামী জনতা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করার লক্ষ্যে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি এবং বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থান পায়।’
সেনাপ্রধান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণ করে বলেন, ‘স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেসব বীর শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত।’
সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্তমানবতার সেবা এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাহিনীরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।‘
তিনি উল্লেখ করেন, ‘দেশমাতৃকার প্রয়োজনে যে কোনও দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং সমর সক্ষমতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও জানান, ‘পরিকল্পিতভাবে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সংযোজন ও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সেনাবাহিনী এখন সুপ্রশিক্ষিত, দক্ষ এবং সদা প্রস্তুত।’
এসি//
