দেশজুড়ে

বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ, পরিবারটির কেউ বেঁচে রইলো না

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এর আগেই নিহত হয়েছিলেন বাবা, মা আর দুই বোন। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন তাসনিয়া ইসলাম প্রেমাও (১৮) চলে গেলেন না ফেরার দেশে এ নিয়ে এই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১১।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহতের স্বজনেরা জানান, ঈদের ছুটিতে রফিকুল-লুৎফুন দম্পতি তাঁদের তিন সন্তান, আত্মীয় ও রফিকুলের সহকর্মী ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দিলীপ বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যরা পর্যটন শহর কক্সবাজারে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে গত বুধবার তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়।

দুর্ঘটনায় সেদিনই ১০ জন নিহত হন। তাঁরা হলেন তাসনিয়ার বাবা ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৪৮), মা লুৎফুন নাহার (৩৭), দুই বোন আনিশা আক্তার (১৪), লিয়ানা (৮) ও স্বজন তানিফা ইয়াসমিন (১৬)। এ ছাড়া নিহত হন আরাধ্যর বাবা দিলীপ বিশ্বাস ও মা সাধনা মণ্ডল। নিহত অপর তিনজন হলেন চালক ইউছুফ আলী (৫৭), আশীষ মণ্ডল (৫০) ও মোক্তার আহমেদ (৫২)।

এদিকে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু আরাধ্য বিশ্বাসকে (৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে আজ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এখন চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুর্জয় কুমার মণ্ডল (১৮)। তিনি শিশু আরাধ্যের স্বজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত বুধবার সকালে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের দ্রুতগতির যাত্রীবাহী একটি বাস চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকার মহাসড়কের একটি বাঁকে আসে। এ সময় চালক হার্ড ব্রেককরতে গেলে বাসটির সামনের অংশ ঘুরে মহাসড়কে আড়াআড়ি হয়ে যায়। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারগামী দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। ঠিক এ সময়ই কক্সবাজারগামী দ্রুতগতির আরেকটি মাইক্রোবাস দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সবাই প্রথম মাইক্রোবাসটির যাত্রী।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চট্টগ্রাম | দুর্ঘটনা