বিনোদন

সারা জীবনই একাকী বলিউডের এই পাঁচ নারী

বিনোদন ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

সমাজে ২০ পেরোলেই মহিলাদের প্রায়ই প্রশ্ন করা হয়, বিয়ে কবে করবে।  তবে এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।  কিছু সাহসী মহিলা সমাজের সেই পুরোনো চিন্তা-ধারণাকে আঙুল দেখিয়ে নিজেদের পথে এগিয়ে চলেছেন।  কেউ নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়েও বিয়ে করেছেন তো কেউ আবার একাকী থেকেও নিজেদের জীবনের পূর্ণতা খুঁজে পেয়েছেন।  তাদের জীবন যেন প্রমাণ করে , একজন মহিলা একা থেকেও সুখী হতে পারেন।  তাহলে জেনে নেয়া যাক বলিউডের এমন কিছু সাহসী মহিলার কথা।  যারা এককভাবে নিজের জীবনকে উপভোগ করছেন।

 তব্বু:

বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেত্রী তব্বু।  ৫২ বছর বয়সেও তার রূপ এবং ব্যক্তিত্বের জাদুতে অনেককে মুগ্ধ করেছেন তিনি।  তবে সম্পর্কের গুঞ্জনে কখনোই নিজের নাম জড়াননি তিনি।  বরং , একক জীবনকে সাহসিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছেন।  তব্বু গণমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ,  “একাকী জীবনকে আমি নেতিবাচকভাবে দেখি না।  সম্পর্কের বাইরেও অনেক জায়গা থেকে সুখ আসতে পারে।  ভুল সঙ্গীর সঙ্গে জীবন কাটানোর চেয়ে একা থাকা অনেক ভালো।”

সুস্মিতা সেন:

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন।  তাকে কেউ চিনে না , এমন কেউ নেই বললেই চলে।  কখনোই বিয়ের বাঁধনে তিনি আবদ্ধ হননি।  তবে দুই কন্যাসন্তানকে দত্তক নিয়ে একসঙ্গে মধুর জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।  সুস্মিতা একাধিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে গেছেন।  তবে কখনোই বিয়ে করেননি তিনি।  তিনি নিজের জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন এবং বহু মহিলাকে অনুপ্রাণিত করেছেন।  যে কোনও বয়সে একজন মহিলা একা থেকেও সুখী থাকতে পারেন।

অমিশা পাটেল:

ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘কহো না… প্যায়ার হ্যাঁ’ ছবির মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।  বর্তমানে তিনি একা জীবনযাপন করছেন।  এক সময় তিনি বেশ কিছু সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন।  কিন্তু বিয়ে না করে দিব্যি একা আছেন।  কয়েক বছর আগে ‘গদর ২’ ছবিতে তার অভিনয় নজর কাড়ে।  সে প্রমাণ করেছেন , একজন মহিলা একা থেকেও সফল এবং আনন্দিত হতে পারেন।

নার্গিস ফকরি: 

বলিউডে "রকস্টার" ছবিতে রাণবীর কাপূরের সঙ্গে তার রসায়ন ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল।  পর্দার বাইরেও রণবীরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছিল।  তবে সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর নার্গিস ফকরি একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন।  আজও একা থেকে তিনি নিজেকে ভালোবাসেন এবং সফল জীবনযাপন করছেন। 

রেখা:

১৯৯০ সালে মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন রেখা।  কিন্তু বিয়ের মাত্র সাত মাস পরেই মুকেশ আত্মঘাতী হন।  এরপর রেখা একা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন।  যদিও তার জীবনে অমিতাভ বচ্চনের উপস্থিতি ছিল গভীর।  কিন্তু কখনোই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।  সিঁথিতে সিঁদুর পরা রেখার জীবনের এক বিশেষ প্রতীক হয়ে উঠেছে।

তিনি প্রমাণ করেছেন , একজন মহিলা বিয়ে না করেও একা থাকতে , নিজের জীবন উপভোগ করতে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সমাজের সামনে দাঁড়াতে পারেন।  তাদের সাহসী সিদ্ধান্তগুলি নতুন প্রজন্মকে শেখায় , সুখী হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট পথ নেই।   বরং , নিজের পছন্দে জীবন কাটানোই সবচেয়ে বড় সুখ। 

এসকে// 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বলিউড | পাঁচ নারী