বিস্ফোরণের পর সবাই ভেবেছিল সিআইডির অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র এসিপি প্রদ্যুমানের গল্প সেখানেই শেষ। কিন্তু হাজারো অনুরাগীর আবেগ ভরা অনুরোধে অবশেষে মৃত্যুর রহস্যভেদ করে ফিরে এলেন তিনি।
সম্প্রতি সিআইডির এক পর্বে দেখা যায়, ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে এসিপি প্রদ্যুমানের ‘মৃত্যু’ হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে পড়েন দর্শকরা। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে যার উপস্থিতিতে সিআইডি ছিল রহস্য-রোমাঞ্চে পূর্ণ, তার এমন বিদায় ভক্তরা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি।
ঘটনার রেশ না কাটতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় বিক্ষোভ। একের পর এক পোস্টে দর্শকরা নিজেদের ক্ষোভ জানাতে থাকেন। অনেকেই বলেন, ‘এসিপিকে ছাড়া সিআইডি কল্পনাই করা যায় না।’
সনি টিভি জানায়, ‘একটি যুগের সমাপ্তি: এসিপি প্রদ্যুমান (১৯৯৮–২০২৫)’। এতে শোকের আবহ আরও ঘন হয়ে ওঠে।
এই সময়েই নতুন করে গল্পে প্রবেশ করেন পার্থ সামথান, যিনি এসিপি আয়ুষ্মান চরিত্রে যুক্ত হন সিরিজে। তিনি ভীষণ উৎসাহ নিয়ে নিজের অংশগ্রহণের খবর জানান। কিন্তু দর্শকদের মন জিততে পারেননি।
সবকিছু বিবেচনা করে, প্রযোজকরা শেষমেশ দর্শকদের অনুরোধ মেনে নেয়। ফিরিয়ে আনা হয় শিবাজী সাতমকে। তার ফিরে আসার পর পার্থ সামথান একটি ভিডিও শেয়ার করেন শুটিং সেট থেকে, যেখানে দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। তিনি লেখেন, ‘এক কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অবিশ্বাস্য।’
অন্যদিকে শিবাজী সাতম নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সেই চিরচেনা সংলাপ—‘কুছ তো গড়বড় হ্যায়!’—একটুকু লাইনেই বুঝে যায় দর্শকরা, ফিরে এসেছেন প্রিয় এসিপি।
এখন ভক্তদের নজর সিরিজের পরবর্তী অধ্যায়ে। পুরনো ও নতুন এসিপি একসঙ্গে কীভাবে রহস্য সমাধান করেন, সেই রোমাঞ্চই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এমএ//