ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বড়বাজার এলাকার ঋতুরাজ হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হোটেলটির তৃতীয় তলায় আগুন লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন পুরুষ, এক মহিলা এবং দুই শিশু। পুলিশ সূত্রে খবর ১৪ জনের মধ্যে ৮ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং বিধান সরণির সংযোগকারী এই রাস্তায় এই হোটেল। রাস্তাটি বেশ ঘিঞ্জি। যে হোটেলে আগুন লেগেছে তার আশপাশে প্রচুর দোকান ও বাড়ি রয়েছে। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং পরবর্তী উদ্ধার অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং বেশ কয়েকজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি , তবে তদন্তের জন্য বিশেষ একটি দল গঠন করা হয়েছে।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্সের এক পোস্টে লিখেছেন, রাজ্য প্রশাসনকে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যালোচনার প্রয়োজন।
পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও কলকাতা কর্পোরেশনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এটি এক মর্মান্তিক ঘটনা। আগুনের কারণে অনেক মানুষ এখনও ভবনে আটকে আছেন। অথচ কোনও সুরক্ষা বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। আমি জানি না করপোরেশন কি করছে।
পুলিশ কমিশনার জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা চলছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজে আরো সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং ভবনটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এসকে//