আন্তর্জাতিক

যা খুশি ‘অ্যাকশন নিন’, সামরিক বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে বললেন মোদী

পহেলগাঁও বন্দুক হামলার বদলা নিতে তিন সামরিক বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান-সহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী, তাতে তিনি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে যখন খুশি, যেখানে খুশি পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে পারে ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা ও ভারতীয় নৌসেনা। কীভাবে হামলা চালানো হবে, কীভাবে পরিকল্পনা করা হবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও বাহিনীর হাত-পা বেঁধে রাখা হবে না। যেমন মনে হবে, সেরকমভাবেই ‘অ্যাকশন’ নেয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে কোন লক্ষ্যে, কী ভাবে, কখন আঘাত করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সেনাবাহিনী। এর আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মোদী। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আবার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করতে পারে সেনাবাহিনী। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। তার পরে পাকিস্তানের বালাকোটে প্রবেশ করে ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারতীয় সেনা। পাক সেনার মদতে ওই শিবিরগুলি চালাচ্ছিল জইশ-এ-মহম্মদ। পহেলগাঁও হামলার পরে সেই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর পুনরাবৃত্তি হবে কি না, প্রশ্ন উঠেছিল। এ বার প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে হামলার জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেয়ার পরে সেই জল্পনাই আরও জোরালো হল।

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে এই উত্তেজনা শুরু হয়। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। নৃশংস এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছে ইসলামাবাদ।

 

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পহেলগাঁও