দেশের প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (০৪ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার জুনিয়র অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
তারা জানান, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কয়েক দিন ধরে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং সেখানেই আজ বিকেলে তিনি মারা যান।
প্রখ্যাত এ আইন বিশেষজ্ঞ ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সত্তরের দশকের শেষ দিকে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তিনি। ১৯৮০ সালে লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত লন্ডনে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ওই বছরের ডিসেম্বর দেশে ফিরে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের আইনি ফার্ম ‘দ্য ল’ কাউন্সেল’। ২০০২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
আব্দুর রাজ্জাক জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন এবং ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের পক্ষে আসামিপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং প্রায় ১১ বছর পর, ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন।
২০১৯ সালে রাজ্জাক জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরে আত্মপ্রকাশ করা এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে ২০২০ সালে তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সে সময় তিনি এবি পার্টির উপদেষ্টা পদ থেকেও পদত্যাগ করেন।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলে ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা পরিচালনা করছেন।
এসি//
