হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় আর্মারিং ও ডিচ ফিলিং প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজে গাফিলতি আছে। এসব বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রাকশিত হয়েছে। হাওরের কাজের অনিয়ম তদন্তে মন্ত্রণালয় থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির তদন্তে ঠিকাদার কিংবা প্রকৌশলীরা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার (৪ মে) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের আওতায় বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ক মতবিনিময় সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আব্দুল লতিফ মোল্লা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কোন প্রকল্পে তদন্তে আসিনি। প্রশাসনিক কাজে এসেছি। দিরাই শাল্লার কয়েকটি কাজ ভিজিট করেছি। ঠিকাদারকে দিগুন শ্রমিক লাগিয়ে কাজ শেষ করতে বলেছি’।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, কিছু গাফিলতি অবশ্যই আছে সেটা হচ্ছে সিস্টেমের গাফিলতি, যেখানে আমার আপনার কোন হাত নেই। আবার কিছু প্রক্রিয়া আছে ঠিকাদারির প্রতি একটিভও হতে হবে।
এসময় পাউবোর নির্বাহি প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, হাওরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বেগ পেতে হয়। শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। সিসি ব্লকের জন্য বালু, পাথর রাখা যায়না। যোগাযোগের অভাবে সরঞ্জামাদি গন্তব্যে পৌছেনা সহজে। কাজগুলো এডিবি ফান্ডে হচ্ছে। কাজ তদারকি করছি। যেখানে অনিয়ম সেখানেই ঠিকাদারকে সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
এসময় জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মিয়া বলেন, টাঙুয়ার হাওর খনন করা দরকার। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলে হাওরবাসী খুশি হবেন।এছাড়া স্হায়ী বাঁধ নির্মানে খাস জায়গা থেকে ঠিকাদাররা মাটি তুলেন। মাটি যেহেতু খাস জায়গা থেকে তোলা হয় সেহেতু মাটির বিল কর্তনের দাবিও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, হাওরে ধান ভাল হয়েছে। ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ ঠিকমত হয়েছে।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সমর কুমার পাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা,পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা,প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা।
আই/এ