রূপালি পর্দায় তারা ছিলেন নিখুঁত যুগল। 'মুঘল-ই-আজম'-এ তাদের প্রেম যেন ছুঁয়ে গিয়েছিল ইতিহাস। কিন্তু বাস্তব জীবনে সেই প্রেমের গল্পটা ছিল অপ্রকাশিত এক দীর্ঘশ্বাসের মতো। নিভৃতে বয়ে চলা, কখনও না বলা কিছু কথা নিয়ে।
দিলীপ কুমার ও মধুবালার প্রেম একসময় বলিউডের পর্দা ছাপিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল দর্শকের হৃদয়ের অলিন্দে। তারা ছিলেন বলিউডের প্রথম ‘পাওয়ার কাপল’। কিন্তু এই সম্পর্কের পরিণতি হয়নি। ভালোবাসা ছিল, ছিল আবেগ, কিন্তু ভবিষ্যৎ ছিল না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুমতাজ সেই প্রেমকাহিনীর অন্তরালের এক গভীর বাস্তবতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, মধুবালা কখনও নিজে থেকে সম্পর্ক ভাঙেনি। বরং, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটি ছিল দিলীপ কুমারের। কারণ মধুবালার হৃদরোগ এতটাই জটিল ছিল যে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন সন্তান জন্মদানের সময় প্রাণ সংশয় হতে পারে। মধুবালার কথায় ছিল, আমার জীবনের সত্যিকারের প্রেম ইউসুফ (দিলীপ কুমার)। কিন্তু আমি জানি, মা হতে গেলে আমি বাঁচব না।
এই কথাগুলো শুনেই নীরবে পিছু হটেছিলেন দিলীপ কুমার। সন্তান চাইতেন তিনি, পরিবার গড়ার স্বপ্ন তারও ছিল। তাই হয়তো মন কাঁদলেও বাস্তবের কাছে হার মেনেছিলেন। এরপর তিনি সায়রা বানুকে বিয়ে করেন। যিনি বয়সে অনেক ছোট হলেও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন তার ছায়াসঙ্গী।
তবুও পরিহাস। সায়রাও কখনও মা হতে পারেননি। মধুবালার মতো তার কোলও রয়ে গেছে শূন্য।
তবে এই অভাব কোনোদিন মুছে দিতে পারেনি তাদের ভালোবাসা। মধুবালা কখনও কষ্ট বা অভিযোগ প্রকাশ করেননি দিলীপ কুমারের প্রতি। কারণ তিনি জানতেন সন্তান একজন পুরুষের স্বাভাবিক চাওয়া। ভালোবাসা মানেই তো কখনও কখনও নিঃশব্দে ছেড়ে দেওয়া।
এসকে//