কোনোভাবেই গুম, খুন, অপহরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, টাকা পাচারকারী ও বর্বর বন্দিশালা আয়নাঘরের প্রতিষ্ঠাতা পতিত, পলাতক, পরাজিত অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না এই বাংলাদেশের মানুষ। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বিএনপি এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, ‘যারা দেশে অবৈধ সংসদ ও সরকার গঠন করেছিল, যারা সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।‘
তিনি বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচারহীন দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে। গুম, খুন, অপহরণের ভয়ে অনেকে এ বিষয়ে মুখ খোলার সাহস পাননি।‘
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত এই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে (২০২৪ সালের) যা হয়েছে, এসব ঘটনা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের সামনে প্রতিনিয়ত আলোচনায় রাখা দরকার। ফ্যাসিবাদী শাসনের বর্বরতার চিত্র প্রতিনিয়ত স্মরণে রাখা গেলে তা একদিকে যেমন গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ সুগম করবে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেউ বিরোধ বা বিভেদ উসকে দিতে সক্ষম হবে না।‘
এমএইচ//