দুই উপদেষ্টার সহকারী এবং এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি জানতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে যুব অধিকার পরিষদ। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে জমায়েত হয়ে মিছিল নিয়ে দুদকের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয় যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের এপিএস ও পিওর বিরুদ্ধে যেহেতু দুর্নীতির অভিযোগ সুস্পষ্ট। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত। গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের পিছনে থাকা রাঘব-বোয়ালদের বের করতে দুদককে তদন্ত করার জন্য সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করছি’।
সংগঠনের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া লোকজন এখনো রয়েছেন। সবার আগে দুদক সংস্থার করা জরুরি। দুদক থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরাতে হবে। দুদক বিগত সময়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করেছে। সরকারের হয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছে। দুদকে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে, এখন দুদককে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে লিখিত ভাবে জানতে চান । এসময় চেয়ারম্যান জানান, কাজ চলমান রয়েছে, একটু সময় লাগবে।
গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি রাহুল ইসলাম সোহেল।
আই/এ