কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এক পল্লি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত বাদশা শাহের ছেলে বারিক শাহ (৫৫)।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ গণমাধ্যমকে ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত পল্লি চিকিৎসককে আটক করেছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলে বারিক তার প্রতিবেশী এক ছাত্রীকে কাজের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর কলার সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে মেয়েটিকে খাইয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করেন। জ্ঞান ফিরে আসার পর সে নিজে বাড়িতে ফিরে আসে। তবে কিছুক্ষণ পর আবার সে অচেতন হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ওসি সোলায়মান জানান, অভিযুক্ত পল্লি চিকিৎসককে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়। পরে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসকে//