পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর নামে সামরিক অভিযানের পর সংবাদ সম্মেলন করে ভারতের সামরিক বাহিনী। সেখানে উপস্থিত হয়ে অপারেশনের বিস্তারিত বর্ণনা করেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।
ওই সংবাদ সম্মেলন নিয়ে মন্তব্যের জেরে রোববার একজন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আলি খান মাহমুদাবাদ দেশটির হরিয়ানা রাজ্যে থাকা অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট, সশস্ত্র বিদ্রোহ, অর্ন্তঘাতমুলক কার্যকলাপ ও ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর আঘাতের অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়েরের পর ওই অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটি করেন ভারতীয় জনতা পার্টি, বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক যোগেশ জাথেরী।
কী ছিলো সেই ফেসবুক পোস্টে
গেলো ৮ মে ফেসবুক পোস্টে মাহামুদাবাদ লিখেন, আমি দেখে খুশি যে অনেক ডানপন্থী লোকজন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসা করছেন। তবে তাদের উচিত ভারতে গণপিটুনি, বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলা ও বিজেপির বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।
তিনি আরও লিখেন, সামরিক অভিযান নিয়ে দুই নারী সৈনিকের উপস্থাপনের দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ, তবে ওই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে হবে, অন্যথায় এটি কেবল ভণ্ডামি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অধ্যাপক মাহামুদাবাদের ওই পোস্ট ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুসলিম কর্মকর্তা সোফিয়া কুরেশি ও ভারতের মুসলিমদের আক্রমণের ঘটনাগুলোকে ইঙ্গিত করে।
নারী কমিশন ও অধ্যাপক মাহামুদাবাদ যা বলেছে
হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশনও নিজে থেকেই বিষয়টির তদন্তে নেমে অধ্যাপক মাহমুদাবাদকে নোটিশ পাঠায়। কমিশন দাবি করছে, অধ্যাপকের ওই মন্তব্য ভারতের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত নারী অফিসারদের অসম্মানিত করেছে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের উসকানি দিয়েছে।
তবে মাহমুদাবাদ তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, আমার মন্তব্য ছিলো নাগরিক ও সৈনিকদের জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে। এছাড়া, সেখানে এমন কিছুই নেই যা নারীবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।
এনএস/