বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবনে আয়োজিতহয় এই মতবিনিময় সভা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম দিপু পাটোওয়ারী , ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিংকু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সম্পাদক তারেক হাসান মামুন।
এসময় আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক আকাঙ্খা, শিক্ষাঙ্গনে প্রত্যাশিত ছাত্ররাজনীতির ধারা, শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে মুল্যায়ন ও প্রস্তাবনা, আবাসন ও খাবারের মানোন্নয়ন, শিক্ষাঙ্গনে কাঠামোগত নিপীড়ন, নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতিবন্ধকতাসহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা হয়।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম দিপু বলেন, 'দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির নামে অপরাধের রাজত্ব কায়েম করেছে। গেস্টরুম কালচারের নামে চালানো নির্যাতন ছাত্ররাজনীতিকে শিক্ষার্থীদের কাছে নেতিবাচক করে তুলেছে।'
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ইতিহাসে কখনোই সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক মিছিলে নেওয়া কিংবা রুমে আটকে রেখে নির্যাতনের কোনো নজির নেই। বরং ছাত্রদল সবসময়ই শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং গণতান্ত্রিক চেতনাকে লালন করে কাজ করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি মানবিক, অংশগ্রহণমূলক ও শিক্ষাবান্ধব রাজনীতির চর্চা করতে চাই। অতীতের গৌরবময় ছাত্ররাজনীতির ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সেই লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।'
ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিংকু বলেন, “বর্তমানে যারা শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট করছে, তারা পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি ছাত্র রাজনীতি হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, ভয় দেখানোর জন্য নয়।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, “তারেক রহমান সবসময় দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। অতীতে যেমন ছাত্রদল গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।”
কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সম্পাদক তারেক হাসান মামুন বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন প্রথম দেখেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭৮ সালে বরিশাল সার্কিট হাউসে এক জনসভায় তিনি বরিশালে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাঁর এই স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় "শহীদ জিয়াউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় বরিশাল আইন, ২০০৬" অনুযায়ী ২০০৬ সালের ২০ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আন্তরিকতায় ‘শহীদ জিয়াউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় বরিশাল’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন সাইবার বুলিংয়ের মতো হুমকির মুখেও রয়েছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং একটি গুপ্ত সংগঠনের যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে এসব ঘটনা ঘটছে। এখনও সেই চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়।
এমএ//