টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ফলে রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি,কলাবাগানসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ১৪১ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছেন প্রশাসন। পাহাড় ধসের কারণে রাস্তা সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মীরা তাৎক্ষণিক রাস্তার মাটি সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
রোববার (১ জুন) রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন উপজেলার সড়ক ও পাহাড় ধসের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাঙ্গামাটি শহরের ২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৪১ জন আশ্রয় গ্রহণ করেছে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলোতে চলছে মাইকিং। পাহাড়ের পাদদেশে থাকা লোকজনকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করছে। রাঙ্গামাটি শহরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ৪টি মোবাইল টিমের সাথে স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করছে।
বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা বলেন, এদিকে টানা বৃষ্টিপাতে জুরাছড়ি, বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে বসত ঘর প্লাবিত এবং ধান্য জমিসহ বিভিন্ন শাক-সবজি পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়াই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। এদিকে ৫ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন তাকায় জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
ইউএনও জানান, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় এখনও পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্র লোকনাথ মন্দিরে ২০টি পরিবারের ৮২ জন আশ্রিত রয়েছে। এ ছাড়া রাঙ্গামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ১০ পরিবারের ৪৫ জন আশ্রিত রয়েছে। দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ১২৭ জনের জন্য আজ রাত এবং আগামীকাল সকাল পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা এর জন্য স্যালাইন, প্যারাসিটামল, ফ্লাজিল সরবরাহ করা হয়েছে।
আই/এ