বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন সম্প্রতি দুটি বড় বাজেটের সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, যা ঘিরে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। একদিকে ‘অ্যানিম্যাল’ ও ‘কবির সিং’ খ্যাত পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার পরবর্তী ছবি ‘স্পিরিট’ এ তার অভিনয় করার কথা থাকলেও শেষমেশ ছবিটি থেকে বেরিয়ে আসেন দীপিকা।
অন্যদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ জানিয়েছে, ‘কল্কি’ সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি।
সূত্র জানিয়েছে, মা হওয়ার পর দীপিকা তার পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য আনতে চান। এজন্য তিনি দিনে সর্বোচ্চ আট ঘণ্টার বেশি শুটিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এ নিয়েই পরিচালকদের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়।
‘স্পিরিট’ থেকে তার সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে পারিশ্রমিক, ছবির মুনাফার ভাগ এবং দৈনিক কাজের সময় নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে তার মতবিরোধ হয়। একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে 'কল্কি ২' নিয়েও।
তবে দীপিকার এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই সমর্থন করছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী কাজল বলেন, একজন মা হিসেবে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার সিদ্ধান্তটি খুবই যৌক্তিক।
অভিনেতা অজয় দেবগণও তার সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, এতে কোনও ভুল নেই। বাস্তব জীবনের অনেক মা-ই তো এই সময়সীমার মধ্যেই কাজ করেন।
এদিকে খ্যাতিমান পরিচালক মণিরত্নমও দীপিকার পক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেন, এটা একটি ন্যায্য দাবি। একজন শিল্পী যদি এমন চাওয়া করেন সেটা তো অস্বাভাবিক নয়। বরং এটা প্রয়োজনীয় ও বাস্তবসম্মত।
তবে দীপিকার তরফ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্মাতারাও ‘কল্কি ২’ এ তার না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবুও বলিউডে আলোচনার কেন্দ্রে এখন দীপিকার কাজের সময়সীমা ঘিরে পরিচালকদের প্রতিক্রিয়া।
এসকে//