কুমিল্লায় এক দিনে নারী ও শিশুসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলার তিতাস, ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং এলাকায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সোমবার (০৯জুন) তিতাস উপজেলার তুলাকান্দি গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী এক বাবা বিষপান করিয়ে তার দুই মেয়েকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষক্রিয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় ১০ বছরের মনিরা ও ৬ বছরের ফাতিহা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ জানান, বাবা মনু মিয়া এবং মেয়ে মনিরা ও ফাতিহা তিনজনই প্রতিবন্ধী।
অন্যদিকে, একই উপজেলার মাছিমপুর পশ্চিমপাড়ায় ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন মুর্শিদ মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। এনজিও এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে না পারায় মানসিক চাপে তিনি গলায় ফাঁস দেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তার ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিতাস থানার উপপরিদর্শক কমল কৃষ্ণ সাহা।
ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ নরী-শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। শিদলাই ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে অন্তরা আক্তার (২৫) নামে এক প্রবাসফেরত তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
একই ইউনিয়নের আরেকটি এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান টুটুল (২৮)। তিনি তার নানা বাড়িতে থাকতেন এবং পেশায় ছিলেন অটোরিকশাচালক।
ব্রাহ্মণপাড়াতেই পুকুরে পড়ে মারা যায় হোসাইন নামের ১৬ মাস বয়সী এক শিশু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।
এদিকে, বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল পূর্বপাড়া এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ আগে।
মরদেহটি কোথা থেকে এসেছে এবং কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এমএ//