বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেছেন, নুরুল হক নুর ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার দলীয় নেতা কর্মীদের দ্বারা মব সৃষ্টি করেছেন। এখন নিজ এলাকা দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলায় মব সৃষ্টির মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার এর চেষ্টা করছেন । তবে স্থানীয় জনগণ এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা নুরের মব সৃষ্টির চেষ্টা রুখে দিয়েছেন।
শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে বায়ান্ন টিভির এ প্রতিবেদকের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুরের এ ঘটনার সূত্রপাত প্রসঙ্গে হাসান মামুন বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিষয়ে ভারসাম্যহীন বক্তব্য দেন নুর। সেই বক্তব্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ইউনিয়ন বিএনপি নেতা। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে নুর সেখানে মব সৃষ্টির চেষ্টা করে।
হাসান মামুনের দাবি করেন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনের পর নুর তার দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা মব সৃষ্টির চেষ্টা করে। এসময় চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির অফিস ভাঙচুর করে । নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত ছবি দেখে ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ মানুষকে নিয়ে মব প্রতিহত করে। এসময় নুর পাশ্ববর্তী এলাকায় ছিলেন। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা সাধারণ জনগণকে নিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে।
তিনি আরও বলেন, এরপর তিনি খবর পেয়ে বকুলবাড়ীয়ায় অবরুদ্ধ নুরকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।পাশপাশি বিএনপির সকল নেতাকর্মীদেরকেও শান্ত হয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু নুর প্রশাসনের কোন কথাই শুনেনি। প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করলে বিএনপি সেটি মেনেছে। কিন্তু নুর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কর্মসূচি পালন করেছে।
এ বিএনপি নেতা বলেন, নুর ১৪৪ ধারা জারির কারণে জেলা প্রশাসককে দোষারোপ করেছেন। অথচ পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে ১৪৪ ধারা জারি করেন ইউএনও। এখানে জেলা প্রশাসককে দোষারোপ করা উদ্দেশ্যমূলক।
তিনি অভিযোগ করেন, নুর কাউকে মানে না। সে গায়ের জোরেসব কিছু করেন। পরবর্তীতে আবার মার খাওয়ার নাটক করে জনগণের কাছ থেকে সহমর্মিতা পেতে চেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নুর উদ্দেশ্যমূলকভাবে মব সৃষ্টি করে শান্তিপ্রিয় গলাচিপা-দশমিনার পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও ঘোলাটে করতে চায়। এ ঘটনায় মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনি অনুরোধ জানান।
আই/এ