রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে আবারও চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন রাজধানীর শের-ই বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ও এসআই শামসুজ্জোহা সরকার নুরুল হুদার ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এর আগে সোমবার (২৩ জুন) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তার বিরুদ্ধে গেলে ২২ জুন রাজধানীর শের-এ বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন খান। তিনি অভিযোগে বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলোর সময় দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার এবং তাদের সহযোগীরা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
ওই তিন নির্বাচনের সময় ‘গায়েবি মামলা’, গুম, অপহরণ ও ভয়ভীতির মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ভোট ছাড়াই প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়।
অনেক ভোটার, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। ব্যালট পেপারের সিল ও স্বাক্ষর বিশ্লেষণ করেও প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন সম্ভব। মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, তাদের সময়কার নির্বাচন কমিশনার, সাবেক পুলিশের আইজি আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
সেই প্রেক্ষিতে গেল ২৩ জুন নূরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন আদালত। পরে, ২৬ জুন (বুধবার) রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এমএ//