পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় জোর পূর্বক এক কিশোরীকে তুলে নেয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কামাল গাজী নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মী ফেসবুকে ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ করেন তার স্ত্রীকে বিএনপি লোকজন জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। তবে বিষয়টি পারিবারিক কারণে ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমারত হোসেন বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কামাল গাজীর বড় ভাই মো. সাদ্দাম গাজী (২৮) বলেন, কিছুদিন আগে পরিবারের অজান্তে কামাল গাজী ওই তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন। পনেরো দিন আগে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করেন। বিষয়টি বিব্রতকর হওয়ায় কামালের পরিবার মেয়ের বাবাকে ফোনে জানিয়ে মেয়েকে নিয়ে যেতে অনুরোধ জানানো হয়,
তিনি জানান, কিন্তু মেয়ের পরিবার তখন উদাসীন ছিল।কামাল গাজী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ করতেন। এ কারণে তরুণীকে নিয়ে বাড়িতে পালিয়ে থাকতে হয়। শনিবার রাত ১২টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইলিয়াস গাজীর ঘরে তাঁকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে মেয়ের বাবা শাখাওয়াত শিকদারসহ ৮-১০ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের বাড়ি থেকে কামালের স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।
সাদ্দাম বলেন, ‘শাখাওয়াত মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে মেয়েটি আপত্তি জানায়। এরপর তাঁকে জোর করে তুলে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তরুণীর বাবা স্থানীয় বিএনপির নেতা শাখাওয়াত শিকদার বলেন, ‘তাঁদের না জানিয়ে বিয়ে হয়েছে। ১৫ দিন আগে তাঁর মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে কামাল গাজীর বাড়িতে ওঠে। পরে বিয়ের কাগজপত্র দেখতে চাইলে ছেলে পক্ষ তা দেখাতে পারেনি। তাই আত্মীয়-স্বজন নিয়ে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসি।’
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তিনি পুলিশে কোনো অভিযোগ করেননি।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. এমারত হোসেন বলেন, ‘মৌডুবি ইউনিয়নের শাখাওয়াত শিকদারের মেয়ে উম্মে সুলতানা তন্বী তাঁর পরিবারের অসম্মতিতে ছাত্রলীগের এক ছেলেকে বিয়ে করেছে বলে শোনা গেছে। ছেলের পরিবার বিয়ের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। শনিবার রাতে মেয়েকে বাবা বাড়ি নিয়ে যান। রাতের এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। মেয়ের বাবা পুলিশকে অবহিত করলে হয়তো এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।’
এ বিষয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ রাঙ্গাবালী উপজেলার শাখার সহ-সভাপতি কামাল গাজীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আই/এ