দেশজুড়ে

দ্বিতীয় দিনের মতো স্থবির বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ ও সংস্কারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে কমপ্লিট শাটডাউনকর্মসূচি পালন করছেন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে আমদানি-রপ্তানি না হওয়ায় স্থবির স্থলবন্দরটি। অবসর সময় পাড় করা সহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বন্দরের ব্যাবসায়ী, শ্রমিক, ভিনদেশী ট্রাকচালক ও সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (২৯ জুন) সকাল থেকে কোন আমদানি-রপ্তানি হয়নি এ স্থলবন্দর দিয়ে।

জানা যায়,  শনিবার (২৮ জুন) ভূটান থেকে আমদানি হওয়া ১৫১টি পাথর বোঝাই ট্রাক কাস্টমসের ক্লিয়ারেন্স ও ছাড়পত্র না পাওয়ায় বন্দরের ইয়ার্ডে আটকা পড়ে আছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের বাধা সৃষ্টির পর এবার বাংলাদেশে কাস্টমসের আন্দোলনে সমস্যায় পড়েছে বন্দর সংশ্লিষ্ট সবাই। এতে করে দিনের পর দিন নতুন সমস্যায় যেমন ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে- তেমনি রাজস্ব আদাই থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার ইসাহাক বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। কর্মবিরতি পালন করা হলেও সকল কর্মকর্তা অফিসে উপস্থিত আছেন। এদিকে কর্মবিরতিতে সরকারের রাজস্ব ঘাটতির বিষয়ে জানতে গেলে কোন মন্তব্য করেননি শুল্ক স্টেশনের এই কর্মকর্তা।

 বাংলাবান্ধায় স্থল বন্দর ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এনবিআরের কর্মসূচি চলমান থাকায় বাংলাবান্ধায স্থল বন্দরে আজ কোন আমদানি রপ্তানি হয়নি। তবে গতকাল শনিবার কোন রপ্তানি না হলেও বন্দরটিতে ১৫১ ট্রাক আমদানি হয়েছে। কিন্তু গতকাল কাস্টমারের পক্ষ থেকে কোন কার্যক্রম পরিচালিত না হয় ১৫১ টি ট্রাক এখনো বন্দরের ইয়ার্ডে আটকা পড়ে আছে। আবারও কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে এবং আটকে থাকা গাড়িগুলো ফেরত যেতে পারবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে পণ্য বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত। এই বন্দরে যেকোনো ধরনের অচলাবস্থা চারদেশীয় বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #বাংলাবান্ধা