ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। পেন্টাগন জানায়, এই হামলার কারণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অন্তত দুই বছর পিছিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (০২ জুলাই) মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, ওয়াশিংটনের হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি এই অভিযানের প্রশংসা করে একে ‘সাহসী ও কার্যকর’ বলে মন্তব্য করেন।
শন পারনেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অন্তত এক থেকে দুই বছরের জন্য তাদের (ইরান) কর্মসূচি দুর্বল করে দিয়েছি। প্রতিরক্ষা বিভাগের গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে এ মূল্যায়ন উঠে এসেছে।’
উল্লেখ্য, গেল ২১ জুন যুক্তরাষ্ট্র বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, এই অভিযানে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
তবে ইরান সরাসরি এখনো জানায়নি কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প বাস্তবতার চেয়ে অনেক বড় করে ঘটনাটিকে তুলে ধরছেন।
তবে একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরানের মূল পরিকাঠামো অক্ষত থাকায় ক্ষয়ক্ষতি সীমিত এবং কর্মসূচি কিছু মাসের জন্য বিলম্বিত হতে পারে।
অন্যদিকে, কিছু ইরানি কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, হামলায় পরমাণু স্থাপনাগুলোর কিছু অংশে ‘গুরুতর ক্ষতি’ হয়েছে।
হামলার আগে ফোর্দো এলাকার একটি গোপন স্থাপনাগুলো থেকে ট্রাক বেরিয়ে যাওয়ার ছবি পাওয়া গেছে। যা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইউরেনিয়াম হয়তো আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, হামলার পর তারা সেখানে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বৃদ্ধি পায়নি।
এমএ//