দেশজুড়ে

যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ছবি: সংগৃহীত

যৌতুকের টাকা না দেয়ার কারণে স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা করেছেন স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার আগরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গেল সোমবার (১৪ জুলাই) সলঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তের নাম  সাগর আহম্মেদ। ভুক্তভোগীর নাম মোছা. সাথী খাতুন (২৫)। বিষয়টি গণমাধ্যমকে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি অভিযোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, চার মাসের গর্ভে সন্তান নিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাথী খাতুন। যৌতুকের টাকা না দেয়ার কারণে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর। চার বছর আগে একই গ্রামের সাগর আহম্মেদের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নির্ধারিত ছিল তিন লাখ টাকা কাবিন। শুরুতে সংসার স্বাভাবিক থাকলেও সম্প্রতি সাগর বিদেশ যাওয়ার জন্য চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না পাওয়ায় সাগর ও তার পরিবার শারীরিক ও মানসিকভাবে তাকে নির্যাতন করতে থাকে।

সাথী বলেন, ৮ জুলাই দুপুরে স্বামী সাগরের সাথে কথাকাটাকাটি চলছিল। একপর্যায়ে সাগর তাকে পেটে জোরে লাথি মারেন। এতে সাথী মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে জানা যায়, সাথীর গর্ভস্থ তিন মাস বয়সী সন্তান আর বেঁচে নেই।

সাথী বলেন, ‘আমার গর্ভের সন্তান কোনও অপরাধ করেনি, তার কি দোষ ছিল? শুধু টাকার জন্য আমাকে প্রতিদিন মারধর করত, এখন আমার সন্তানকে মেরে ফেলেছে।  আমি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার চাই’।  

সাথীর বড় ভাই সজীব জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমার বোনকে মারধর করার পাশাপাশি তার গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের পাশবিক নির্যাতনের বিচার না হলে আর কোনও মায়ের গর্ভই নিরাপদ থাকবে না।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাগর আহম্মেদ ও তার পরিবারকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ওসি হুমায়ুন জানান,অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #যৌতুক #স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা