গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। হামলার ঘটনায় ১৪৪ জারি ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসন এ ঘোষণা দেন।
এর আগে, শহরের পৌরপার্ক এলাকায় অনুষ্ঠিত এনসিপির সমাবেশ শেষে পদযাত্রা চলাকালে হঠাৎ করে হামলা চালায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে তারা মিছিলসহ মঞ্চে উঠে পড়ে এবং ভাঙচুর চালায়। মাইক, সাউন্ড সিস্টেম ও চেয়ার ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হয়, পাশাপাশি এনসিপির উপস্থিত কর্মীদের ওপর শারীরিক আক্রমণও চালানো হয়। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
সহিংসতা থামাতে পুলিশ বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মীরা এনসিপির গাড়িবহরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
হামলার শিকার হয়ে এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। তারা জানান, পদযাত্রায় অংশ নেওয়া দলের একাংশ মাদারীপুরের পথে রওনা দিলেও বাকিরা হামলার কারণে আটকা পড়ে যায়। সম্ভাব্য আরেকটি হামলার আশঙ্কায় তারা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যার বিচার এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের দাবিতে এনসিপি এই সমাবেশ ও পদযাত্রার আয়োজন করেছিল। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় অনুষ্ঠানটি সহিংস রূপ নেয় এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দেয়।
এমএ//