দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে ৩১৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৩১৯ জন নতুন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলেই সর্বোচ্চ ৮৯ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে ৯০ জন, ঢাকার বাইরের বিভাগীয় এলাকায় আরও ৫৯ জন, চট্টগ্রামে ৩৮ জন, রাজশাহীতে ৩০ জন, ময়মনসিংহে ৯ জন এবং রংপুরে ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৬৯ জনে, আর আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ১৮ হাজার ৩৪৫।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান জানান, ‘ডেঙ্গু এখন আর শুধু বর্ষার রোগ নয়। এটি সারা বছরই দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে এর প্রকোপ বাড়ে। প্রতিরোধের জন্য শুধু ব্যক্তিগত সচেতনতা নয়, সিটি করপোরেশনকেও সচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদার করতে হবে।’
এদিকে কীটতত্ত্ববিদ ডা. মনজুর চৌধুরীর মতে, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে কেবল জরিমানা বা জনসচেতনতা যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সঠিক জরিপ ও প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছিল। সে বছর মোট আক্রান্ত হয়েছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা গিয়েছিল ১ হাজার ৭০৫ জন—যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।