আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি আলোচনায় রাজি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড

চতুর্থ দিনের মতো পাল্টাপাল্টি হামলা করছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে আজ রোববার (২৭ জুলাই) চতুর্থ দিনের মতো পাল্টাপাল্টি হামলা  হয়েছে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা জোরালো হয়ে ওঠার পরও সংঘর্ষ চলছে। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে।

অন্যদিকে ভোর থেকে দফায় দফায় গোলার আওয়াজ শুনেছেন, কম্বোডিয়ার সামরাং শহরে অবস্থানরত এএফপির সাংবাদিকরা। তারা সংঘর্ষস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভোর পৌণে পাঁচটার দিকে দুটি বিরোধপূর্ণ মন্দিরের কাছে সংঘর্ষ শুরু হয়।

গতকাল শনিবার আমেরিকোর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছেন। 

ট্রাম্পের এ চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে আজ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেছেন, তারা সীমান্ত সংঘাত বন্ধ চান না। যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে চান। 

হুন মানেত আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলবেন। থাই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করবেন। তবে ব্যাংকক যাতে চুক্তি লঙ্ঘন না করে। 

গতকাল শনিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে ট্রাম্প বলেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সংঘাত থামাতে তিনি দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন । ‘থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে এই মাত্র কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললাম।’ পরে আরেকটি পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেন, ‘এই মাত্র থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলো। কম্বোডিয়ার মতো থাইল্যান্ডও দ্রুত যুদ্ধবিরতি চায়।’

ট্রাম্প ওই পোস্টে আরও লিখেন, ‘আমি (থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর) এই বার্তা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জানাচ্ছি। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে যুদ্ধবিরতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি স্বাভাবিক। ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন লড়াই না থামালে দুই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতি হবে না। 

এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচাইয়াচাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, থাইল্যান্ড ‘নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি’। তবে তারা ‘কম্বোডিয়ার আন্তরিকতা দেখতে চান।

সীমান্ত নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিরোধ শত বছরের বেশি পুরোনো। গেল মে মাসে এ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃস্টি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দেশ দুটি। শনিবার পর্যন্ত চলমান সংঘাতে দুই দেশের ৩২ জন নিহত হয়েছেন। দুই দেশের প্রায় পৌণে ২ লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়েছেন। 

অপরদিকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। এসময় কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত চেয়া কেও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #থাইল্যান্ড #কম্বোডিয়া