বিনোদন

প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার প্রার্থনা, কেন পরিণীতিকে বলেন রাঘব

বিনোদন ডেস্ক

রাজনীতিতে অনেকেই আছেন, যাদের জীবন বদলে দেয় একের পর এক চমক। আম আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডার ক্ষেত্রেও ঘটনা কিছুটা তেমনই। সর্বকনিষ্ঠ রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার গৌরব বয়ে এনেছেন তিনি। দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্যতম উপদেষ্টার আসনেও ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও রাঘব এখন অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার স্বামী হিসেবে পরিচিত।

২০১৯ সালে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন রাঘব। বিশেষ করে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির জয়ে তার ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই কর্মজীবনের গতি অক্ষুণ্ণ রেখেই বছর খানেক আগে গাঁটছড়া বাঁধেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতির সঙ্গে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পাঞ্জাবের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত রাজনীতির প্রথম সারির অনেকেই।

তবে এই বিয়ের পেছনে রয়েছে এক অনিচ্ছুক স্ত্রীর গল্পও। পরিণীতি একসময় স্পষ্ট করে বলেছিলেন, রাজনীতি তার ধারে কাছেও নেই। এমনকি জীবনে কোনও রাজনীতিবিদকে বিয়ে করার প্রশ্নই ওঠে না এমন বক্তব্যও দিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। কিন্তু বাস্তবতা মাঝে মাঝে নিজেই গল্প লিখে ফেলে। শেষ পর্যন্ত সেই অভিনেত্রীকেই নেতার স্ত্রী হয়ে যেতে হয়েছে।

রাঘবের চোখে রয়েছে বড় স্বপ্ন দেশের নেতৃত্ব একদিন নিজে হাতে নেয়ার। তবে স্ত্রী পরিণীতির ভাবনায় এর ঠিক উল্টো। রাঘব হাসতে হাসতে বলেন, “প্রতিদিন সকালে আমি ওকে বলি, প্রার্থনা করো যেন তোমার স্বামী প্রধানমন্ত্রী না হয়ে বসে!” কারণ? রাঘবের বিশ্বাস, পরিণীতি যেটা চায়, প্রায়শই ঘটে তার উল্টোটা। ঠিক যেমন, রাজনীতিবিদকে না বিয়ের প্রতিজ্ঞার পরিণতি শেষ পর্যন্ত রাজনীতিকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়া। একসময় রাজনীতি নিয়ে অনাগ্রহী থাকলেও বিয়ের পর পরিস্থিতি বদলেছে। এখন রাজনীতি বিষয়েও খোঁজখবর রাখেন পরিণীতি।

রাঘব বলেন, “আমি সব সময় বিশ্বাস করি, স্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে চললেই সংসার সুখের হয়।”

উল্লেখ্য, চোখের অস্ত্রোপচারের কারণে কিছুদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন রাঘব চাড্ডা। তবে এবার আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। আর সঙ্গে রয়েছেন পরিণীতি যিনি হয়তো এখন আর রাজনীতিকে ‘না’ বলার জায়গায় নেই তবে এখনো মনে মনে চান রাজনীতি যেন তাদের জীবনকে পুরোপুরি গ্রাস না করে।

এসকে//