দেশজুড়ে

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই, গণপিটুনি দিলো জনতা

ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের স্বরুপনগর এলাকার একটি বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গণপিটুনি দিয়ে সোহেল রানা (২৩) নামের এক যুবককে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় সোহেলের সহযোগী আরও ৩ জন পালিয়ে গেছে। অভিযুক্ত যুবকদের মারধরে আহত ওই বাড়ির দুই নারীকে জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য লিয়াকত আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান

পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রাতে অভিযুক্তরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে দাবি করে এই বাড়িতে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। বাল্যবিয়ের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা চাঁদা দাবি করে এবং কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সেই বাড়ির নারীদের মারধর করে। ওই নারীদের গলায় থাকা দুটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে আশপাশের এলাকাবাসী এগিয়ে এসে সোহেলকে আটক করে গণপিটুনি দেয়, কিন্ত তার সহযোগী আরও ৩ জন পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটককৃত যুবক চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়াগোলা এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি বেসরকারি পলিটেকনিকের ছাত্র।

ওসি মতিউর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের কথা বলে বাড়িতে ঢুকে চাঁদা দাবি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এজাহার পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বলেন, আটককৃত সোহেল রানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কমিটিতে ছিল না। তবে সে জুলাই যোদ্ধা ছিল এবং আন্দোলনের সময় কারাগারেও গিয়েছিল। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান এবং সে যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকে তাহলে তার কঠোর শস্তির দাবি জানান

প্রসঙ্গত, এর আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারের তৎকালীন জেল সুপার শরিফুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ জানানো হয়েছিল এই সোহেলের বিরুদ্ধে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #সমন্বয়ক