পাকিস্তানে হঠাৎ শুরু হওয়া মেঘভাঙা বৃষ্টি ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে। প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর ও বাটগ্রাম অঞ্চল।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে বহু এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। কেবল বুনের জেলায়ই এখন পর্যন্ত ১৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে গাডেজি তহশিলে মারা গেছেন ১২০ জন। চাঘারজাই এলাকায় ধসে পড়া একটি ভবনের নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সময় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরেও ভূমিধসের ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে। নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় আটজন নিহত এবং প্রায় ৫০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
খাইবার পাখতুনখোয়া দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, শুধু এ প্রদেশেই গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ নারী ও ১২ শিশু। হিগুকান্দ ও পীর বাবা এলাকায় এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা আছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকেছেন। প্রদেশটিকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ ঘোষণা করার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে। সেনাবাহিনীসহ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে প্রশাসনের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এমএ//
