জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা বলেছি, সব ঠিক হয়ে যাবে বলবেন, আবার দেখবেন নির্বাচনে অনিয়ম হবে আবার রাতে দুঃখ প্রকাশ করবেন এসব হবে না। এই সরকার দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। যে সরকার এসব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সেই সরকার কীভাবে নির্বাচন করবে আমরা তা নয়ে শঙ্কিত। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
রোববার (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা.তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাত্যয় ঘটলে দেশ নৈরাজ্যের দিকে চলে যাবে। কোনও নীল নকশা বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হবে না। এই সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। আজকের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ৩টি বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। প্রথম হলো কিছু বিষয় সংস্কার করা হবে। বিচার দৃশ্যমান করা হবে। বিশ্বমানের আনন্দঘন নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, ‘কিছু দল ঐকমত্য বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। তারা বলছেন সংস্কার আগামী নির্বাচিত সরকার করবে। তারাই যদি করে তাহলে এক বছর সময় নষ্ট করলাম কেন? জুলাইয়ের পর অনেক পরিবর্তন চেয়েছিলাম সেটা যেন আইনি প্রক্রিয়ায় হয়। এটা না হলে জুলাইয়ের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। চার্টারের ৩টি বিষয় আছে। আমরা চার্টারের বাস্তবায়ন চাই। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন নির্বাচনের আগেই কিছুটা বিচার হয়ে যাবে আমরা একমত হয়েছি’।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অবাধ নির্বাচন হবে বলেছেন। আমরা উনার বক্তব্যের সাথে একমত হয়েছি কিন্তু কার্যকারিতার বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছি। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। লন্ডনে গিয়ে তারিখ ঘোষণার ঘটনায় নিরপেক্ষতার প্রশ্ন রয়েছে।
এ জামায়াত নেতা বলেন, জুলাই ঘোষণা সকল দলের সাথে আলোচনায় হয়নি। এতে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়নি। একইদীন বিকেলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা মনে হচ্ছে চাপে পড়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের উচিত ছিলো জুলাই সনদের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার পর নির্বাচন ঘোষণা করা। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে দ্বিমত নেই। কিন্তু এটি জুলাই চার্টার হতে হবে। এটা অর্জন না করে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেয়া অন্যরকম ব্যাপার। একটা দল যেভাবে চেয়েছে সেভাবে হয়েছে। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ক্ষুন্ন হয়েছে।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে তিনি আর বলেন, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে ৩১ দলের মধ্যে ২৫ দল একমত হয়েছে। কেউ উচ্চকক্ষে পিআর চায়। আর জামায়াত সবজায়গাতেই চায়। জামায়াতকে অবজ্ঞা করে একই সংস্কৃতিতে নির্বাচন হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সকলের সন্তুষ্টি সম্মতি ও নির্ধারিত সময়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আই/এ