সকালের শুরুতে খালি পেটে এক টুকরো আমলকী অথবা এর রস পান শরীরকে দেয় বিশেষ শক্তি ও সুরক্ষা। ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজে ভরপুর এই ছোট্ট ফলকে আয়ুর্বেদ ও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান সমানভাবে “সুপারফুড” বলে মানে।
শরীর পরিষ্কারে কার্যকর
আমলকীর রস বা জল খালি পেটে খেলে শরীর ভেতর থেকে ডিটক্স হয়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভার ও রক্তকে বিষমুক্ত করে, ফলে সারাদিন সতেজ অনুভূত হয়।
হজম শক্তি বাড়ায়
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে আমলকী খেলে হজম-অগ্নি শক্তিশালী হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও কমায়। ফলে হজমতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং পেটের অসুখের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
প্রাকৃতিক ভিটামিন সি–এর অসাধারণ উৎস আমলকী। নিয়মিত খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি, মৌসুমি সংক্রমণ ও ভাইরাল রোগ থেকে শরীর সুরক্ষিত থাকে। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
আমলকীতে থাকা ফাইবার দীর্ঘসময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি অযাচিত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মেটাবোলিজম বাড়ায়। নিয়মিত খালি পেটে আমলকী খাওয়ার ফলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
ত্বক ও চুলের প্রাকৃতিক সমাধান
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকী ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা কমায় এবং কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল পড়া ও অকালপক্বতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, আমলকী রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর। এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিটরুট ও আমলকীর জুস একসাথে খালি পেটে পান করলে শরীর আরও দ্রুত ডিটক্স হয়। এতে রক্তও পরিষ্কার থাকে এবং সার্বিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ছোট্ট একটি আমলকী প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করলে শরীর পায় বহুমুখী উপকার। তবে যাদের অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রাইটিস বা ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত খাওয়া উচিত।
এসকে//