দেশজুড়ে

প্রতিবেশীর টয়লেট থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

ছবি: বায়ান্ন টিভি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে আট বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের বিক্ষোভে অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দেয়া হয় এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি গ্রামে। নিহত মুরসালিন মিয়া (৮) ওই এলাকার মশিউর রহমান মুছা ও মনজু দম্পতির ছোট ছেলে। পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম (২৩) শিশুটিকে বলাৎকারের পর হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করে। ঘটনার পর থেকে মমিনুল পলাতক।

মরদেহ উদ্ধারের পর ক্ষুব্ধ জনতা মমিনুলের বাড়ি ও তার নানার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, দুটি বাড়ির পাঁচটি কক্ষে আগুনে আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

এদিকে মুরসালিনের পরিবারের দাবি, শুক্রবার দুপুরে বড় ভাইয়ের বিয়ের আলোচনা চলাকালে মমিনুল একাধিকবার মুরসালিনকে ডেকে নেয়। পরে তাকে নিজ ঘরে আটকে মোবাইলে ভিডিও দেখানোর প্রলোভন দিয়ে বলাৎকার করে হত্যা করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটি নিখোঁজ থাকায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাতে এলাকায় মাইকিং করা হলেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরদিন রাত ৮টার দিকে মমিনুলের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় মুরসালিনের বাবা বাদী হয়ে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মমিনুলের মা মহসেনা বেগম, বোন ফাহিমা খাতুন, প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #কুড়িগ্রাম #শিশু