অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শরীর ও মনের জন্য বিষের মতো কাজ করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক জীবনযাপন, ইতিবাচক মনোভাব আর স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে প্রতিদিনই কাটানো যায় চাপমুক্ত জীবন।
আজকের ব্যস্ত সময়ে চিন্তাহীন জীবন অনেকটা স্বপ্নের মতো শোনালেও মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন এটি সম্ভব। চিন্তা পুরোপুরি দূর করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। আর এভাবেই সুস্থ মন-শরীরের সমন্বয়ে হালকা ও নিশ্চিন্ত জীবনযাপন সম্ভব।
দুশ্চিন্তা যেকারনে ক্ষতিকর
শরীর:
কোর্টিসল হরমোন বেড়ে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বাড়ায়।
মস্তিষ্ক:
স্মৃতিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মনোযোগ কমে ও ডিপ্রেশন বাড়ে।
আচরণ:
খিটখিটে স্বভাব, অনিদ্রা, ক্লান্তি ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয়।
চিন্তামুক্ত থাকার কৌশল
• শারীরিক যত্ন: ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার, বেশি পানি ও গভীর শ্বাস।
• মানসিক ভারসাম্য: মেডিটেশন, ইতিবাচক চিন্তা, গ্রাটিচিউড জার্নাল, মাইন্ডফুলনেস ও হাসির চর্চা।
• সামাজিক সমর্থন: কাছের মানুষের সঙ্গে সময়, অভিজ্ঞতা শেয়ার, বিষাক্ত সম্পর্ক এড়ানো ও সোশ্যাল মিডিয়া ডিটক্স।
• আধ্যাত্মিক প্রশান্তি: প্রার্থনা, প্রকৃতির সান্নিধ্য, সংগীত বা শিল্পচর্চা।
• কর্মক্ষেত্রের ভারসাম্য: কাজের অগ্রাধিকার, ছোট বিরতি, কাজ ভাগ করে নেওয়া ও বিনোদনের জন্য সময় রাখা।
ছোট টিপস
দীর্ঘস্থায়ী দুশ্চিন্তায় সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সিলরের সহায়তা নেয়া জরুরি। প্রয়োজনে রিলাক্সেশন থেরাপি, মিউজিক থেরাপি বা চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ কার্যকর হতে পারে।
• সকালে মোবাইল নয় ইতিবাচক কিছু দিয়ে দিন শুরু করুন।
• কাজের ফাঁকে চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিন।
• প্রিয় শখের জন্য সময় বের করুন।
• সামাজিক কাজে যুক্ত হোন।
• “না” বলতে শিখুন, বাড়তি দায়িত্ব এড়িয়ে চলুন।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিন্তামুক্ত থাকা মানে সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং সঠিক কৌশলে তা মোকাবিলা করা। সচেতনতা, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও ইতিবাচক মানসিকতাই পারে আপনাকে দিতে এক হালকা ও নিশ্চিন্ত জীবন।
এসকে//