রাজধানীর বাজারগুলোতে গত তিন মাস যাবত সব সবজির দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজি, মাছ, ডাল, শাক, আটা-ময়দা ও চা পাতার দাম সাম্প্রতিক দুই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম গেল এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১০–২০ টাকা বেড়ে ১৮০–২০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে; গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০–৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০–১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পশুর সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম স্থিতিশীল।
সামুদ্রিক ও খাল-নদীর বিভিন্ন মাছের দামও ৫০–১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কোরাল ৮০০–৯০০, আইড় ৬০০–৭৫০, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) আকারভেদে ৭৫০–১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য মাছ যেমন রুই ও কাতলা ৩৫০–৪৫০, পাবদা ৪০০–৬০০, শিং ৪০০–৫০০, টেংরা ৬০০–৭০০, পুঁটি ২০০–২৫০, সরপুঁটি ৩০০–৪৫০, তেলাপিয়া ২৫০–৩০০, নাইলোটিকা ২২০–২৮০, কৈ ২০০–২২০ এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ২৫০–২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই–আড়াই কেজির চাষের রুই কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ৫–১০ টাকা কমে গেছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, কলমি ও হেলেঞ্চা শাকের আঁটি ২০ টাকা, পুঁইশাক প্রতি আঁটিতে ৪০–৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা ছোট পরিমাণে সবজি কিনছেন। আলু ও পেঁপে ছাড়া অন্যান্য সবজির কেজি ৮০–১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। গোল বেগুন ১০০–১৪০, বরবটি, করলা, চিচিঙ্গা, কচুর লতি ১০০–১২০, ধুন্দল ৮০–১০০, ঝিঙা, পটল, ঢেঁড়স ৮০ টাকার আশেপাশে। আলু ২৫–৩০ এবং পেঁপে ৩৫–৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম এখনও বেশি। মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৭২–৮৫ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭৫–৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা চাল ৫৮–৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে নেই বলেই ক্রেতাদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিক্রেতাদের দাবি উৎপাদন ও পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে স্বাভাবিক দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
এমএ//