বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘দেশের মানুষ ২০০৯ সালে ভোট দিতে পেরেছে। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছে, ২০১৮ তে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, ২৪ এ ‘আমি-ডামি’ নির্বাচন হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে চায়। যারা এ সমস্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তাদের উচিত হবে এমন কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা যে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন আসবে, মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত হবে, নির্বাচন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো সরে যাবে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এ কথা বলেন।
ডা.জাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদের যে নির্বাচন হচ্ছে এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) যে জাকসু নির্বাচন হয়েছে সেখানে শুধু ছাত্রদলের কথা কেন বলেন? সেখানে বিভিন্ন প্যানেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী, এমনকি শিক্ষক পর্যন্ত অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। নিশ্চয়ই সেখানে কোনো না কোনো কারণ আছে।
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো বিভেদ-বিভাজন আপনাকে-আমাকে শক্তিশালী করবে না। মনে রাখতে হবে, ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার কারণেই স্বৈরাচার পালিয়েছে। স্বৈরাচার ফেরত আসার পথ সুগম হবে না। কিন্তু কেউ যদি স্বৈরাচারকে পুনর্বাসিত করতে চান তাহলে এই ধরনের প্রহসনমূলক ব্যবস্থার আয়োজন করবেন যেটি সত্যিকার অর্থে শেষ বিচারে ভালো বলে পরিগণিত হবে না।’
প্রসঙ্গত, এ সময়ে ডাকসু নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম এবং জাকসুতে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন জাহিদ হোসেন।
আই/এ