আমদানি-রপ্তানি

চলতি জুলাইয়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আমদানি

বিগত তিন বছরের মধ্যে চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশের আমদানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মূলত ডলার সংকট কাটিয়ে ওঠা ও আমদানি নীতি শিথিলতা করার কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। জুলাইয়ে আমদানিকারকরা ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছেন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত বছর জুলাইয়ে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে বাণিজ্য অনেকটা থমকে গিয়েছিল।  এবার স্বাভাবিক ব্যবসা ফিরেই আমদানিতে বড় বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। আমদানির এই বৃদ্ধির মূল কারণ হলো বেশি করে কাঁচামাল আনা। যেমন তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, লোহা, ইস্পাতসহ অন্যান্য ধাতু ও যন্ত্রপাতি।

সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিয়া জুনেদ বলেন, 'গত দুই বছরে সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে এলসি অনুমোদন কঠোর করেছিল এবং রিজার্ভ বাড়াতে বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়েছিল। এখন এসব নীতিমালা কিছুটা শিথিল হওয়ায় ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে। এছাড়া বিশ্ব বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও টাকার দুর্বলতার কারণে আমদানি খরচ আরও বেড়েছে,'

তিনি বলেন, 'এই বৃদ্ধির কারণ হলো ব্যবসা ও উৎপাদন, সাধারণ মানুষের কেনার কারণে নয়।'

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, এটা আসলে সত্যিকারের প্রবৃদ্ধি নয়, বরং ব্যবসা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার চিত্র। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ এখনও কম, এলসি খোলা কমেছে, আর বড় মেশিনের আমদানি কয়েক বছর ধরে কমছে।'

তিনি বলেন, জুলাই মাসে ব্যবসায়িক ঋণ ৬ দশমিত ৫২ শতাংশ বেড়েছে। যা আগের মাসের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে এটি ছিল অন্তত দেড় বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। আর বেসরকারি খাতের ঋণ জাতীয় বিনিয়োগের দুই-তৃতীয়াংশের সমান।

তিনি আরও বলেন, 'ঋণ প্রবৃদ্ধির এই পরিসংখ্যান বার্তা দিচ্ছে যে, বিনিয়োগে আগ্রহ সেভাবে বাড়েনি। তাই পরিসংখ্যান ইতিবাচক মনে হলেও আমাদের বুঝতে হবে অর্থনীতি এখনো স্থিতিশীলতার পর্যায়ে আছে, বাড়ছে না।'

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #আমদানি #জুলাই