আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অন্তত ৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। আল-দারাজের আল-সিদরা পাড়ায় বেসামরিক লোকজনের সমাবেশে বোমা হামলায় প্রাণ হারান ৮ জন, যাদের মধ্যে ৪ জন শিশু। আল-তুফাহ এলাকায় একটি পরিবারের বাড়িতে হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত হয়েছেন ১১ জন।

শাতি শরণার্থী শিবিরে আরেক পরিবারের বাড়িতে হামলায় ৯ জন নিহত হন। শহরের পশ্চিমে আব্বাস জংশনের কাছে প্রাণ হারান আরও ৫ জন। আল-রিমালের একটি ফ্ল্যাটে এক ব্যক্তি এবং শেজাইয়া এলাকায় ড্রোন হামলায় আরেকজন নিহত হন। এছাড়া আল-রাশিদ সড়কে বাস্তুচ্যুতদের ওপর হামলায় আরও একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হন। গাজা সিটির অন্যান্য এলাকায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আল-নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি পরিবারের বাড়িতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৯ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তানরা। একই শিবিরে বেসামরিক লোকদের ওপর আরেক হামলায় ৪ জন নিহত হন, এদের মধ্যে ২ জন শিশু।

আল-আওদা হাসপাতালের তথ্যানুসারে, নুসাইরাত বাজারে ভিড়ের ওপর হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হন। আল-জাওয়াইদায় একটি বাড়িতে হামলায় প্রাণ হারান আরও ৩ জন।

দেইর আল-বালাহ এলাকায় সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-দায়া নিহত হন। তিনি বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে হামলার শিকার হন। এ নিয়ে অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫২ জনে।

নেতসারিম করিডরের কাছে মার্কিন-ইসরাইলি বিতরণকেন্দ্রের সামনে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় গুলিতে নিহত হন আরও ৫ জন। একই এলাকায় হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩ জন।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের জোরা আল-আক্কাদ এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় একজন নিহত হন। শহরের উত্তর-পশ্চিমে আতিয়াফ শ্যালের কাছে আরও একজন নিহত হন। আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের এক তাঁবুতে হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৫ জন।

প্রসঙ্গত, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলি সেনারা গাজায় প্রায় ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। দীর্ঘস্থায়ী বিমান ও স্থল হামলায় গাজা প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং এর জনগণ এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ফিলিস্তিন #ইসরাইল #গাজা