ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উদ্দেশে যাত্রা করা গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা (জিএসএফ)-এর জাহাজগুলোকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলি নৌবাহিনী। জিএসএফ মাঘরেব শাখার মুখপাত্র ওয়েল নাওয়ার জানান, ইসরাইলি বাহিনী একাধিকবার প্রধান জাহাজগুলোর পথ রোধের চেষ্টা করলেও বহর শেষ পর্যন্ত যাত্রা অব্যাহত রাখে।
বুধবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়েল নাওয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রথমে ‘আলমা’ নামের নেতৃত্বদানকারী জাহাজকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা হয়। কিন্তু অন্য জাহাজগুলো কোনো বাধা ছাড়াই সামনে এগিয়ে যায়। পরে একইভাবে ‘সিরিয়াস’কে লক্ষ্যবস্তু বানানো হলেও ফলাফল একই থাকে—বাকিরা নির্বিঘ্নে গাজার পথে চলতে থাকে।
নাওয়ারের ভাষায়, “তুমি যদি ৪৭টি জাহাজ থামাতে পারো, তবুও ৪৮তম জাহাজ গাজার দিকে যাবে।” তাঁর মতে, এই ঘটনাই প্রমাণ করে ফ্লোটিলার মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ভাঙা যাবে না।
বহরের ভেতর থেকে আল জাজিরার এক সংবাদদাতা জানান, কিছু সময়ের জন্য আলমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ওই সময় একটি ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ প্রায় পাঁচ ফুট দূরত্বে এসে আলমার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ইঞ্জিন অকেজো করে দেয়। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে যাত্রীরা তাঁদের ফোন সমুদ্রে ফেলে দেন। কিছুক্ষণ পর ইসরাইলি জাহাজটি সরে গেলে আলমা আবার চলাচল শুরু করে।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বহরটি গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১২১ নটিক্যাল মাইল (২২৫ কিলোমিটার) দূরে রয়েছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় গাজায় ৬৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। অব্যাহত অবরোধ ও ধ্বংসযজ্ঞে অঞ্চলটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে; ছড়িয়ে পড়েছে দুর্ভিক্ষ ও রোগব্যাধি।
এমএ//