আকাশে এখন আর আগের মতো ভারী মেঘ জমে না। দিনের শেষে সূর্য ডোবার আগে হালকা সোনালি আলো ছড়িয়ে পড়ে ধানক্ষেতে, নদীর ধারে, গ্রামের মেঠোপথে। উত্তরের হিমেল হাওয়া যেন ফিসফিস করে জানিয়ে দিচ্ছে— ‘বর্ষার অধ্যায় শেষের পথে, আসছে শীত’।
দীর্ঘ সময় ধরে চলা এবারের বর্ষা মৌসুমের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। এর মধ্য দিয়েই শেষ হবে চলতি বছরের ‘দীর্ঘ বর্ষা’র অধ্যায়।
ইতিমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে পঞ্চগড়ে, শরতের সঙ্গে শীতের আগমনী আমেজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সকাল-বিকেলে হালকা থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রান্তিক জনপদের পথঘাট। গরম চায়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে ধীরে ধীরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তিন মাসব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলছে— অক্টোবরের প্রথমার্ধেই মৌসুমি বায়ু পর্যায়ক্রমে বিদায় নেবে বাংলাদেশ থেকে। এই সময়ে ৩ থেকে ৬ দিন মাঝারি থেকে তীব্র বিজলিসহ বজ্রবৃষ্টি এবং ৪ থেকে ৮ দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে অক্টোবর মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এ মাসে ৩ থেকে ৬টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে, তবে তা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকতে পারে। আর শীত মৌসুমে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে— বিশেষ করে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ডিসেম্বর মাসে ১ থেকে ২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরের জেলা থেকে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়বে শীতের আমেজ। জানুয়ারির দিকে গিয়ে এর তীব্রতা আরও বাড়বে বলে ধারণা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এসি//