দেশজুড়ে

সাউন্ডবক্স বাজিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১৪ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে রেস্টুরেন্টে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছেঅভিযোগ রয়েছে, কিশোরীর চিৎকার যাতে বাইরে না যায়, সে জন্য অভিযুক্তরা রেস্টুরেন্টে সাউন্ডবক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজায়। ভুক্তভোগী কিশোরী কামারখন্দ উপজেলার একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রধান অভিযুক্ত নাইম হোসেন (২২) উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে ঘটনাটি ঘটে । পরদিন সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে নাইম হোসেনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কামারখন্দ থানায় মামলা করেন। কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কলম কিনতে পাশের দোকানে যায় কিশোরী। সেই সুযোগে নাইম জোর করে তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেয় কামারখন্দ সেন্ট্রাল পার্কসংলগ্ন ডেরা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’-এ। সেখানে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় নাইমকে সহায়তা করে আরও পাঁচ যুবকজামতৈল এলাকার ইমরান (২১), আকাশ (২১), আতিক (২৩), নাছিম উদ্দিন (২০) ও নাজমুল হক নয়ন (২০)। অভিযোগে বলা হয়েছে, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কিশোরীর চিৎকার চাপা দিতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হয়, আর বাইরে পাহারা দেয় বাকি পাঁচজন।

ভুক্তভোগীর মা জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় গিয়েছিল। কিন্তু ছুটি হওয়ার পরও বাড়ি না ফিরলে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে এক অচেনা ব্যক্তি ফোনে জানায়, আমার মেয়ে অসুস্থ। হাসপাতালে গিয়ে দেখি মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ। এম. মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি

তিনি আরও বলেন, ওই ছেলেরা আমার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। সোমবার সকালে ডাক্তাররা তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেছেন

শহীদ এম. মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক পার্থ সাহা বলেন, কিশোরীর বিশেষ অঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জোরপূর্বক যৌন নির্যাতনের কারণেই এই ক্ষতি হয়েছে

ওসি আব্দুল লতিফ বলেন,ভুক্তভোগীর মা ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ধর্ষণ #সিরাজগঞ্জ