আবহাওয়া

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, প্রয়োজন সতর্কতার

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নীল জলের বুকে সৃষ্টি হয়েছে শক্তির নতুন ঘূর্ণি। ক্রমে ক্রমে রূপ নিচ্ছে ভয়ংকর রূপে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে—বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-তে পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১,৩৬০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১,৩০০ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ১,২৮০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ‘মোন্থা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করছে।

আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশে সাগর এখন উত্তাল ও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।

ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে অত্যন্ত সতর্কভাবে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে না যেতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, ‘মোন্থা’ মঙ্গলবার ভারতের ওডিশা ও তামিলনাড়ু উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপে আঘাত হানতে পারে। স্থলে পৌঁছে এটি ক্রমে দুর্বল হয়ে ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে বাংলাদেশের দিকে আসতে পারে।

তার প্রভাবে বুধবার থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ঘূর্ণিঝড়