বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বড় অবদান রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি কারাভোগ করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। গত দুদিন ধরে তিনি আবার অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং গতকাল রাতেই ডাক্তাররা বলেছেন যে, তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ জুম্মা রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের মাতা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য সারাদেশের জনগণের কাছে বিএনপি দোয়া চেয়েছিল এবং সারা দেশের মসজিদে মসজিদ দোয়া হচ্ছে। এখানে এই নয়া পল্টনের মসজিদে নামাজ আদায় করে সবাই খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে। আল্লাহ যেন তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে দেন।
দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নিজস্ব দাবি আদায়ের জন্য মালিক পক্ষ অথবা সরকারের সঙ্গে কাজ করার দিকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করলে সমস্যা সমাধান হয় না। গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদ, অর্থাৎ শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমের জায়গাটা ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশে ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে শত্রু মনে করা হয়। তার সম্পর্কে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালানো হয়। এ বিষয় থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকা উচিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন রাজনীতিকদের নিয়ে যে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়, তাতে করে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না। এর মধ্য দিয়ে এক ধরনের নৈরাজ্য আর মব ভায়োলেন্সের সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের যাত্রায় বাধাগ্রস্ত করছে।
এ বিএনপি নেতা বলেন, জিয়াউর রহমনার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। একইভাবে খালেদা জিয়াও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য যা কিছু দরকার চেষ্টা করতেন। বিএনপির ৩১ দফায়ও এ বিষয়টি রয়েছে।
আই/এ