রাজধানী

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা

মা’কে বাঁচাতে এসেই নিহত হয় নাফিজা

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল গৃহকর্মী আসামি আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে  পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে তার স্বামী রাব্বীকেও আটক করা হয়েছে। গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) স্বামীর দেয়া তথ্যেই নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে আয়েশার দাদা শ্বশুরের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে ছয় ভরি সোনা, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো চাইনিজ ছুরি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে মা–মেয়েকে হত্যা করে স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাসার মালামাল চুরি করে নেওয়ার সময় মা লায়লা আফরোজের কাছে আয়েশা ধরা পড়ে। একপর্যায়ে লায়লা আফরোজ তাকে আটকে পুলিশে ফোন দিতে গেলে আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করে।

মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে মেয়ে নাফিজা বিনতে আজিজ দৌড়ে ড্রয়িংরুমে এসে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ওই সময় ঘাতক গৃহকর্মী তাকেও ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে এবং এরপর গোসল করে নাফিজার স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যায়।

পুলিশের সূত্র আরও জানিয়েছে, মা–মেয়েকে হত্যার পর আয়েশা বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। চুরি করতে গিয়ে লায়লা আফরোজ দেখে ফেলায় তাকে বিশেষ চাইনিজ ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলে মেয়ে উপস্থিত হওয়ায় তাকেও হত্যা করে। গ্রেপ্তারের পর তার কাছে ছয় ভরি সোনা, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

 

এসি//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #মা-মেয়ে #মোহাম্মদপুর #হত্যা #গ্রেপ্তার #গৃহকর্মী আয়েশা