আর্কাইভ থেকে বলিউড

বলিউডে ‘ইনসেপশন’র মতো ছবি তৈরি সম্ভব না

বলিউডে ‘ইনসেপশন’র মতো ছবি তৈরি সম্ভব না

স্বপ্ন, স্বপ্নের মাঝে আরেক স্বপ্ন। এমন স্বপ্নের কথা স্বপ্নেও সহজে আসে না। হলিউডে এমন জটিল গল্পে নির্মাণ করা হয়েছে ‘ইনসেপশন’ সিনেমাটি। বুঝিয়ে বলি- স্বপ্নের তথাকথিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার বাইরে গিয়ে স্বপ্ন দেখিয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান তার ‘ইনসেপশন’ ছবিতে।

নোলানের সিনেমার অন্যতম ফিচার হল ধাঁধা, ইম্পসিবল কন্সট্রাকশন। যেমন এই সিনেমায় যে নেভার এনডিং সিঁড়িটি দেখানো হয়েছে সেটি হল এমন একটি ইম্পসিবল অবজেক্ট যেটি আমরা একমাত্র স্বপ্নেই তৈরি করতে পারি। সিনেমার চরিত্রগুলি ইর্ষা, অপরাধবোধ এবং একাকিত্বে ভোগা চরিত্র এবং অন্য সিনেমার মতো এই সিনেমার প্রোটাগনিস্টও আলাদা নয়।

হলিউডের অনেক ছবি বলিউডে রিমেক করা হলেও ‘ইনসেপশন’র মতো ছবি নির্মাণ করা সম্ভব না বলে মনে করেন আমির খান। এর পেছনে কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

আমির খানের মতে, বড় সংখ্যক দর্শকের কাছে ছবি পৌঁছানোর জন্য সিনেমার গল্প কিছুটা কম জটিল করা হয়। সিনেমার গল্প বুঝতে খুব কঠিন মনে হলে তা বেশিরভাগ দর্শকের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পায়না।

তার মতে, বলিউডের সিনেমাগুলোর গল্প তৈরি করতে হয় সহজভাবে। একারণেই হয়তো বলিউডের এসব কন্টেন্টকে ‘হালকা বিনোদন’ বলা হয়।

ইনসেপশন মূলত ফিউচারিষ্টিক এসপিওনাজের কাহিনী। দুই স্বপ্নচোরের কার্যকলাপ দিয়ে কাহিনী শুরু হয়। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।

আরও পড়ুনঃ

বাবা-মায়ের সম্পর্ক আর শৈশব নিয়ে মুখ খুললেন কারিনা

আলী যাকেরের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে

ক্রিস্টোফার নোলানের সিনেমাগুলোর ধাঁচ এমন যে এগুলো বুঝতে হলে একাধিকবার দেখতে হয়। ‘ইনসেপশন’ সিনেমাটির যথার্থ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অনেক বড় সিনেবোদ্ধারাও হিমশিম খেয়েছেন। সিনেমাটির কিছু বিষয় এখনো অনেকের কাছে অমীমাংসিত রয়ে গেছে। 

সূত্র: মেনজ এক্সপি 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বলিউডে | ইনসেপশনর | মতো | ছবি | তৈরি | সম্ভব