আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কঠোর লকডাউন শুরু

কঠোর লকডাউন শুরু

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সঙ্কুচিত হলেও অর্থনীতি সচল রাখতে চায় সরকার। কারণ গত বছর করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছিল রফতানি খাত ও রেমিটেন্স।

এ লক্ষ্যে লকডাউনের মধ্যেই দেশের শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রাখা হচ্ছে। সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংকিং সেবা। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।

এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে রাজধানীর সড়কগুলোর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মিডিয়া, জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবাসংশ্লিষ্ট অফিস, যাদের কর্মী এবং যানবাহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে তাদেরকে ছাড়া কাউকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না।

এছাড়া সর্বাত্মক লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ‘মুভমেন্ট পাস’ দিতে পুলিশ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিশেষ অ্যাপ চালু করলেও গণমাধ্যম কর্মীদের এই পাস লাগবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।

সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন—কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুত্, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন—এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

এছাড়া ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিত্সাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সত্কার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কঠোর | লকডাউন | শুরু